ডায়াবেটিসে কোন ওটস খাবেন? ওটস খাওয়ার নিয়ম

ডায়াবেটিসে কোন ওটস খাবেন? ওটস খাওয়ার নিয়ম

বিগত দশ বছর ধরে ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি ও হার্ট ফ্রেন্ডলি খাবার হিসেবে সচেতন মানুষ ভাত রুটির বিকল্প হিসেবে ওটস কে বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এখানেও গোঁড়ায় গলদ থেকে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই এমন ওটস বেছে নিচ্ছেন যা ময়দার থেকেও বেশি ব্লাড সুগার বাড়ায়। ফলে ওটস খেয়েও বেশিরভাগ ডায়বেটিস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রণে কোন লাভ পাচ্ছেন না। ডায়াবেটিস কন্ট্রোল টিপসের এই পোষ্টে আমরা বিভিন্ন রকম ওটস নিয়ে জানবো আর সবচেয়ে ভালো ওটসটিকে বেছে নেবো। আসলে ওটস বিখ্যাত তার ফাইবারের জন্য। তার মধ্যে প্রধান হলো:

  • বিটা গ্লুকান ফাইবার 

চাল, গম, ভুট্টার মতো শস্যদানা থেকে ওটস এ বেশি ফাইবার থাকে। কিন্তু সব ওটস এ সমান ফাইবার থাকে না। আপনাকে ব্লাড সুগার কমানোর জন্য বেশি ফাইবার যুক্ত ওটস বেছে নিতে হবে। সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে ওটস স্টিল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যেন সবচেয়ে কম হয় কিন্তু পুষ্টিগুণ যেন সবচেয়ে বেশি হয়। আসুন সেই কাজে আপনাকে আমরা কিছুটা সাহায্য করি । 

Instant Oats

বেশিরভাগ ডায়বেটিস রোগী Instant Oats খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ওটস টি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে খারাপ। আসলে Instant Oats যেহেতু কয়েক মিনিটে রান্না করে খাওয়া যায়। তাই ওটস টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এর জন্য ওটস থেকে অত্যাধিক বেশি প্রক্রিয়াজাত করার পর সিদ্ধ করে তাকে ফের শুকিয়ে নিয়ে বিক্রি করা হয়। অত্যাধিক প্রক্রিয়াজাত হওয়ার ফলে Instant Oats এ বিটা ব্লু ক্যান ফাইবার অনেকটাই কমে যায়। 

লাইসেন্সিক ইনডেক্সও অনেক বেড়ে যায়, সাথে এন্টি ডায়াবেটিক উপাদানগুলো কমে যায়। ফলে ডায়বেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় Instant Oats রাখলে ব্লাড সুগার কমাতে সবচেয়ে লাভ পাবেন না। তাই শুধু ডায়বেটিস রোগী নয় কারোরই ইন্সট্যান্ট ওটস খাওয়া উচিত না।

Ouick Oats

এই ওটস অনেকটা ইনস্ট্যান্ট ওটস এর মতোই কম সময়ে রান্না করা যায়। ফলে বেশ জনপ্রিয় ডায়াবেটিস রোগীদের Ouick Oats ও এড়িয়ে চলাই ভালো। 

ডায়াবেটিসে কোন ওটস খাবেন? ওটস খাওয়ার নিয়ম

Rollod Oats

রোল ওডস খুব একটা প্রক্রিয়াজাত নয়। whole grain oats  প্রথমে সিদ্ধ করে তাকে শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর শুকিয়ে যাওয়া ওটসকে রোলারের সাহায্যে চ্যাপ্টা করে বাজারে বিক্রি করা হয়। Rollod Oats অনেকটা সিদ্ধ চালের মতো

Rollod Oats কম প্রক্রিয়াজাত হওয়ার ফলে আগের ওটস গুলোর তুলনায় অনেক কম ব্লাড সুগার বাড়ায় রোল ওটস তুলনামূলকভাবে নরম হওয়ায় খেতে যেমন ভালো তেমন রান্না করাও খুব একটা কঠিন না। তাই ডায়বেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় এই ওটস রাখা খুবই সহজ আর লাভজনক।

 Stell Cut Oats

Stell Cut Oats আরো কম প্রক্রিয়াজাত whole grain oats কে শুধুমাত্র স্টিলের কাটার দিয়ে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে বাজারে বিক্রি করা হয়। Stell Cut Oats খুবই কম প্রক্রিয়াজাত হওয়ার ফলে এই হটস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই জনপ্রিয় তবে এই ওটসের সমস্যা হলো ওটস টি রান্না করতে অনেক সময় লাগে খেতেও তেমন ভালো না। 

Oats Groats

এই ওটস একেবারেই প্রক্রিয়াজাত নয়। ফলে সবচেয়ে বেশি ফাইবার ও অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান থাকে। সাথে গ্লাসনিক ইনডেক্সও সবচেয়ে কম, এই ওটস সবচেয়ে কম লাভ সুগার বাড়ায়। ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো কিন্তু রান্না করতে অনেক সময় লাগায় ও খেতে সবচেয়ে খারাপ হওয়ায় ওটসই খুব কম মানুষই পছন্দ করেন।

 শেষ কথা

আলোচনা থেকে বুঝতেই পারছেন ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে সবচেয়ে খারাপ ওটস হলো:

  • Instant Oats
  • Ouick Oats

আর সবচেয়ে ভালো ওটস হলো :

  • Oats Groats

তবে সবদিক থেকে বিচার করলে ডায়বেটিস রোগীর খাদ্যতালিকায় Rollod Oats আর Stell Cut Oats সবচেয়ে উপযুক্ত। ডায়াবেটিস কন্ট্রোল টিপস নিয়ে এরকম আরো তথ্য পেতে  ফেজবুক এবং টেলিগ্রামে যুক্ত থাকুন। সাথে থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post