ব্রেস্ট ক্যান্সার কিভাবে হয়?
ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে প্রথমেই আমরা এই রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিই। ব্রেস্ট ক্যান্সার মূলত হয় কিন্তু মহিলাদের মধ্যে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে পুরুষরা এর থেকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত পুরুষদের মধ্যেও কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। যদিও তার প্রাদুর্ভাব মহিলাদের থেকে অনেকটা কম। এ ছাড়া বয়স যত বাড়ে তত কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনাটাও কিছুটা হলেও বাড়তে থাকে।
অর্থাৎ একজন কম বয়সী মহিলার থেকে একজন বেশি বয়স্ক মহিলার কিন্তু বেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বেশি। এ ছাড়া যেই সমস্ত মহিলাদের অনেক আগে কম বয়সে শুরু হয়। যেসব মহিলারা বাচ্চা যাদের হয় না অথবা যারা নেন না এবং যেই সমস্ত মহিলারা বাচ্চা ৩০ বা ৩৫ বছরের পরে হয়। অথবা যদি বাচ্চা হয়ও তাহলেও তাদেরকে কমপ্লিটলি এক্সক্লুসিভ ব্রেসফিলিং ফরস ফোর টু সিক্স মান্থস যেটা সাধারণত প্রেসক্রাইব থাকে সেটা করার না তাদের কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বেড়ে যায়।
কাদের বেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেন আফটার মেনু পস, তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু দেখা গেছে যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের চান্স কিছুটা হলেও বেশি। এছাড়া কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরস আছে যেগুলো কিন্তু লাইফ স্টাইল রিলেটেড আমাদের নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা যত দিন যাচ্ছে তত আরো বেশি ওয়েস্টার্ন হাইড হয়ে যাচ্ছে, এইসবের সাথেই আসে বেশ কিছু ফ্যাক্টর যেমন স্মোকিং, অ্যালকোহল ওবেসিটি লেস, অ্যাক্টিভিটি লেস অ্যাক্টিভ লাইফ স্টাইল এই সমস্ত কিছুই কিন্তু আমাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের রিস ফ্যাক্টর হিসাবে গর্বের আগে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ওরাল কনটেসেভ পিলস ইউজ করা হতো।
তখন মনে করা হতো যে এই ওসিপিজও ব্রেস্ট ক্যান্সারের একটা রিস্ক ফ্যাক্টর, কিন্তু আধুনিক যুগের যে সমস্ত ওরাল কন্ট্রোসিটিভ পিলস রয়েছে সেগুলি কিন্তু এখন অনেকটাই প্রটেক্টিভ এই ওরাল কনট্রাসেপ্টেড পিলস গুলো কিন্তু ওভারিয়ান ক্যান্সারে প্রটেকশন দেয়। এবং দেখা গেছে তারা কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের রিস্ক বাড়ায় না, তার ফলে ওরাল কন্ট্রোসেপ্টিভ পিলস নিয়ে কোন অমূলক ভয় নিজেদের মধ্যে রাখবেন না।
কিভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে নিজেকে মুক্ত করবো?
এবারে আসি কি করে নিজেদের মধ্যে কি কি চেঞ্জেস এনে আপনারা বা আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারি। তার মধ্যে নাম্বার ওয়ান হচ্ছে একটা অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইল মেনটেন করা। একটা হেলদি ডায়েট নিজেদের মধ্যে তৈরি করা। অর্থাৎ কিনা জাঙ্ক ফুডের দিকে বেশি না যাওয়া, অ্যালকোহল অথবা স্মোকিং ভেরি ইম্পরট্যান্ট এইগুলো থেকে যতটা সম্ভব নিজেদেরকে দূরে রাখা যায়, তাহলে শুধুমাত্র ব্রেস্ট ক্যান্সার আরো বিধক রোগ সেগুলো থেকেও কিন্তু নিজেদেরকে দূরে রাখা যাবে।
যাদের বাচ্চা হবে তারা যেন অবশ্যই ব্রেস্ট ফিডিংটা অন্তত ছয় মাস কন্টিনিউ করেন মিনিমাম। তাহলে কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের চান্স অনেকটা কমে যেতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সার এই রিস্ক ফ্যাক্টরস গুলো জানা সেগুলোকে অ্যাওয়ার করা সেগুলো কিন্তু ভীষণ দরকারি এবং প্রিভেন সেটাও কিন্তু করা দরকার যাতে আপনার শরীরে এই ব্রেস্ট ক্যান্সার নামক মারণ রোগটি বাসা না বাঁধতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন:
রিস ফ্যাক্টর গুলো নন মডিফাইবেল সেই রিস ফ্যাক্টর সম্পর্কে আপনি কিছু করতে পারবেন না। সেটা হচ্ছে যে বংশগত ব্রেস্ট ক্যান্সার। ইয়েস ব্রেস্ট ক্যান্সার কিন্তু বংশগত অথবা হেরিডিটারই হতে পারে এই হেরিটেটের ব্রেস্ট ক্যান্সার কে বিভিন্ন টাইপের বিভিন্ন রকমের হেরিডিটিরি ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। যেমন হেরিডিটারি ব্রেস্ট অ্যান্ড ওরিয়ন ক্যান্সার সিস্টেম বা এইচবিও এইগুলো কিন্তু কোন বিশেষ মিউটেশনের জন্য পরিবারের মধ্যে অথবা বংশগত ভাবে সেই পেশেন্টের রক্তের মধ্যে থাকে।
সেই গুলোকে ডাক্তাররা কিন্তু ডিটেক্ট করতে পারি এবং ডিটেক্ট করার পর ডাক্তাররা কিন্তু চেষ্টা করতে পারি যাতে সেই পেশেন্টদের ব্রেস্ট ক্যান্সার না হয়। তার জন্য ডাক্তার আগে থেকে সার্জারি করতে পারে এবং আরো বিবিধ কিমো প্রিভেন অথবা ওষুধ দিয়ে সেই ব্রেস্ট ক্যান্সারটাকে যাতে না হয় ব্যবস্থা করে ডাক্তার। তাই সবার প্রথম যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সচেতনতা।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হন।এবং যদি কোন রকম ভাবেও আপনার মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার আসে তাহলেও ভয় পাবেন না। ব্রেস্ট ক্যান্সারও কিন্তু অত্যন্ত ভালোভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব এবং সেটাকে কন্ট্রোলও করা যায়। ধন্যবাদ