এখন চারিদিকে ডেঙ্গু রোগের ছড়াছড়ি, এবং এই ডেঙ্গু হওয়ার ফলে আপনারা সব সময় জিজ্ঞাসা করছেন যে কি খেলে প্লেটলেড কাউন্ট বেড়ে যাবে। আজকে গুরুত্বপূর্ণ সুপার ফুডের কথা বলবো। যেগুলো আপনারা ডায়েটে ইনক্লুড করবেন। যদিও আপনাদের ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে
আমলকি: আমলকি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্লেটলেট ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এবং লেবুর রসে থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটা কিনা প্লেটলেটের কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করে। তারপর মিষ্টি কুমড়ো এবং মিষ্টি কুমড়োর বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ প্লেটলেট তৈরি করতে সাহায্য করে। আমি রেকোমেন্ট করে থাকি অ্যালোভেরা জুস, অ্যালোভেরা জুস কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্লেটলেট বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনারা দৈনিকভাবে অ্যাডাল কনজাংশন লেভেল তিরিশ এম এর অ্যালোভেরা জুস খেতেই পারেন সকালে খালি পেটে।
পেঁপে পাতার রস এবং পাকা পেঁপের জুস: ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি প্লেটলেট কাউন্ট দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে। নেক্সট মোমো গ্র্যানেট অথবা ডালিম যেটা বাংলায় বলা থাকে যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে আয়রন এবং এই আয়রন খেলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা যেমন কমে এছাড়াও কিন্তু প্লেটলেট কাউন্টও বেড়ে যায়। এই সুপার ফুড তো রয়েছে তার সাথে একটা পার্সোনালি জায়েজ প্লান ফলো করা দরকার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ কথা:
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে সেটা ফলের জুসি হোক বা ডালের জলই হোক, সেগুলো কিন্তু প্রত্যেকটা ইনক্লুডেড আমি সাধারণত ডেঙ্গু রোগীদের বলে থাকি যে এক গ্লাস করে ডালের জল খাওয়া অথবা ফলের জুস খাওয়া। এবং মশার হাত থেকে দূরে থাকুন। যদি আপনারা দেখছেন জ্বর অনেকদিন থাকছে এবং তাপমাত্রা ওঠানামা করছে সাথে বডিতে রেশেষ তার সাথে অ্যাডডোমিনাল পেন বা চোখের কোনে ব্যথা বা চোখের পেছনটায় ব্যথা করছে।
এবং প্রচুর পরিমাণে আপনার সোয়েটিংও হচ্ছে এবং তাপমাত্রা নামছেই না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া আপনারা এনএস ওয়ান এন্টিজেন টেস্টটাও করে দেখতে পারেন যাতে এই নেগেটিভ বা পজিটিভ ডেঙ্গু রোগ বোঝা যায়। ভালো থাকবেন, সচেতন থাকবেন, ডেঙ্গু মুক্ত থাকবেন ধন্যবাদ