ডায়াবেটিস রোগীরা কি ভেজা বাদাম খেতে পারেন? ভেজানো বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য বিপজ্জনক কেন জেনে নিন

ডায়াবেটিস রোগীরা কি ভেজা বাদাম খেতে পারেন? ভেজানো বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য বিপজ্জনক কেন জেনে নিন

কেন ডায়াবেটিস রোগীদের ভেজা বাদাম খাওয়া নিষেধ?

ডায়াবেটিস রোগীদের কেন ভেজা বাদাম খেতে দেওয়া হয় না। আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কতটা ভালো। আলোচনাটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদামের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও একটি ত্রুটি রয়েছে যা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভেজা বাদামের বিপদ নিয়ে আলোচনা করব।

ডায়াবেটিস রোগীরা ভেজা বাদাম খেলে কি হয়?

অনেক ডায়াবেটিস রোগী রাতে বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে ভেজা বাদাম খোসা ফেলে মনে করে পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন না। আসলে ডায়াবেটিস রোগীরা এখানে পরপর দুটি ভুল করছেন। বাদামের খোসায় সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে খোসা বাদামের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়া বাদাম ভিজিয়ে রাখলে E.coli সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। এছাড়া সাধারণত বাদাম আট থেকে বারো ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয়। ফলস্বরূপ, বাদামে ফাইটার এনজাইমের কার্যকলাপ খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না। গবেষণায় দেখা গেছে যে কোনো বীজ যেমন বাদাম পাঁচ থেকে আট দিন ভিজিয়ে রাখলে ফাইটেজ এনজাইমের কার্যকারিতা সর্বাধিক। ফাইটেজ এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়লে বাদামে ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

ভিজিয়ে বাদাম খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো না খারাপ?

আট থেকে বারো ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা বাদাম ফাইটিক অ্যাসিড উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে না, তবে গবেষণা দেখায় যে কম সময় ভিজিয়ে রাখলে খনিজ উপাদান হ্রাস পায়। অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় ভেজা বাদাম রেখে কোনো লাভ নেই। বরং অনেক সমস্যা আছে। তাই হয় কাঁচা বাদাম খান অথবা ভেজে নিন। গবেষণা দেখায় যে বাদাম ভাজা তাদের পুষ্টির মান বৃদ্ধি করে। ধন্যবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post