বাঙালির খাবার গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তায় তাল অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। সুস্বাদু এই ফলটি কচি অবস্থায় শ্বাস হিসাবে খাওয়া যায়। পাকা তাল থেকে রস বের করার পর দীর্ঘদিনের বিরতিতে বিচ মাটিতে রেখে দিয়ে তা থেকে পাওয়া সাশ তো বাঙ্গালীদের কাছে বেশ প্রিয় একটি খাবার।পাকা তালের রস দেখতে বেশ কমলা রঙের হয়ে থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্য গুনেও অনন্য।
পাকা তালে কি কি উপাদান আছে?
পাকাতালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি,পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে ভিটামিন বির ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ কিংবা কৃমির সমস্যা আছে, তাঁরা তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
যারা প্রায় বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালের ও বিকেলে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিনদিন খেতে হবে। একই পদ্ধতিতে তাল খাওয়ার অভ্যাসের পুরুষত্ব হীনতায় উপকার পাওয়া যায়। বমিভাব দূর করতেও এভাবে পাকা তাল খেতে পারেন। যদি পুরোনো কোন কাশি কোন ভাবেই আপনার পিছু না ছাড়ে তবে একই পদ্ধতিতে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।
শেষ কথা
তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে পাকাতাল বাতের ব্যথা দূর করতে তালের রস বেশ উপকারী।
আপনি যদি প্রতিদিন একশো গ্রাম তাল কোন চিনি ও পানি না মিশিয়ে খান, তবে আপনার বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে অনেকাংশে উপশম হবে। লিভার সুরক্ষায় তালের শ্বাসের ভূমিকা রয়েছে। এবং তালের শ্বাস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ধন্যবাদ