আজকে আমি কথা বলবো ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে। ডায়াবেটিস রোগী আসলে সব ধরনের খাবারই খেতে পারবেন। সাধারণ রুগীকে আমরা যেমন কার্বোহাইড্রেড প্রোটিন ফ্যাট এ ধরনের খাবার গুলাকে যেভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে থাকি। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেও খাবারগুলো একইভাবে ডিস্ট্রিবিউশন হবে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরল সরকারাগুলোকে আমরা এভোয়েড করতে বলি।
ডায়াবেটিস রোগী কি কি খাবার খেতে পারবে না?
যেমন চিনি, গুড়, মধু, মিস্ত্রি, মিষ্টি জাতীয় যত খাবার আছে এগুলোকে আমরা এভোয়েড করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। তা ছাড়া প্রত্যেকদিন পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন অবশ্যই তাদেরকে গ্রহণ করতে হবে। ফ্যাট সোর্স থেকেও অবশ্যই খাবার গ্রহণ করা খুব বেশি জরুরি। ডায়বেটিস রোগীর তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব।
ডায়াবেটিস যে ৩টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
- তারা কি খাচ্ছেন?
- কখন খাচ্ছেন?
- কি পরিমাণে খাচ্ছেন?
খাবারগুলো যদি সরল সরকরার ক্ষেত্রে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেড হয়, এবং খাবার যদি ফাইবার রিচ হয় তাহলে সেই খাবার থেকে গ্লাইসিমিক ইনডেক্সের যে গ্লাইসিমিক লোড আছে সেটা ধীরে ধীরে বাড়ে। এজন্য খাবারগুলো ডায়বেটিস রোগীর জন্য যথেষ্ট স্বাস্থ্য সম্মত হয়ে থাকে। তাছাড়া পরিমিত পরিমাণে পানি, ফলমূল, শাকসবজি এগুলো তাদের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগী কোন সময় খাবার খাবে?
আর ডায়াবেটিস রোগী কখন খাবেন, সেটিও খুব জরুরি। ডাক্তার তিন ঘন্টা গ্যাপে গ্যাপে খাবারের কথা বলে থাকে। তাছাড়া ডাক্তার বলে যে একবারে অনেক খাবার না খেয়ে বরং সারাদিনের খাবারটিকে পাঁচ থেকে ছয় বারে ভাগ করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রুগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং খাবার নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে একটি সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। সবাইকে ধন্যবাদ