একচুয়ালি এটা একটা সাইকোলজিকাল বিষয়, অনেকেই বলে আমার বাচ্চাকে একটা ভিটামিন দেন, ভিটামিন বাচ্চার জন্য একটু ক্ষুধা লাগে। এরকম একটা কনসেপ্ট তাদের মধ্যে আসলে তৈরি হয়ে গেছে। যে মাল্টি ভিটামিন দিলেই বাচ্চার ক্ষুধা লাগবে এবং খাবে। বা physician ও তাকে multivitamin দিচ্ছে বা অনেক সময় parents physician এর কাছে চেয়ে নিচ্ছে মাল্টি ভিটামিন টা। মাল্টি ভিটামিন টা আসলে কি এটা আগে আপনাদেরকে বুঝতে হবে। প্রথমত এই মাল্টি ভিটামিন টা আপনার বাচ্চাকে খাবার থেকেই নিতে হবে।
মাল্টি ভিটামিন কি?
মাল্টি মানে হলো অনেক টাইপের ভিটামিন অর্থাৎ এখানে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে, বি, সি, সবই থাকবে। এটাই মাল্টি ভিটামিন। অর্থাৎ ভিটামিনের পুরো গ্রুপটাই যেখানে থাকে সেটাকে মাল্টি ভিটামিন বলে. আপনি খাবার থেকে না দিয়ে যদি supplement থেকে দিতে হয় এটা তো আসলে supplement করা অর্থাৎ খাবার থেকে বাচ্চা নিয়েছে। যতটুকু তার গ্যাপ পড়েছে বাকিটুকু সাপ্লিমেন্ট করা সেটাই হলো আসলে মাল্টি ভিটামিন।
তার ভিটামিনের ঘাটতি আছে কিনা এটা ফিজিসিয়ান বা নিউট্রিশনস তাকে দেখার পরেই কিন্তু বুঝবে যে এই ভিটামিন টার তার ঘাটতি আছে। ঠোঁটের কোণে ঘা থাকে মুখের ভিতরে ঘা থাকে স্কিন ফ্যাকাসে থাকে, চুল ফ্যাকাসে থাকে৷ স্কিন খুব ড্রাই হয়ে যায়। এ ধরনের অনেক সিমটমই কিন্তু আমরা বুঝি। বাচ্চার কোন ভিটামিন মিনালসের ঘাটতি আছে কিনা, তখনই কিন্তু আমরা বলি যে এই খাবারটা দিবেন। তার পাশাপাশি তাকে মাল্টি ভিটামিন দেওয়া যেতে পারে।
বাচ্চা দীর্ঘদিন অসুখে ভুগলে কি করবেন?
তবে খুব যদি আপনার বাচ্চা দীর্ঘদিন অসুখে ভুগে থাকে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, আমার সঙ্গে ম্যালেরিয়া, টাইপয়েড. এই ধরনের যদি সিজনালও কোন রোগে ভুগে থাকে ফ্রিকুয়েন্টলি তাহলে অনেক সময় বাচ্চারা একেবারে ওয়েট ফল করে যায়, অ্যাপেটার্ড লো হয়ে যায়, খাবার থেকে কোনো ভাবে কাভার করতে পারছেন না. তখন খাবারের পাশাপাশি মাল্টি ভিটামিন টা আমরা সাজেস্ট করে থাকি যে অ্যা ওজন কমে গেছে। সেজন্য সুস্থ কোন বাচ্চার জন্য আসলে মাল্টিভিটামিনের প্রয়োজন নাই।
বয়স অনুযায়ী ওজনও ঠিক আছে performance সবই ভালো আছে। মাসে হয়তো দশ পনেরো দিন সে খাবার নিয়ে একটু বিরক্ত করছে, খাচ্ছে না। তার মানেই তাকে multivitamin দিতে হবে তা কিন্তু নয়। এবং এই মাল্টি ভিটামিন কখনই একজন প্যারেন্টসকে বলবো যে আরেকজনের আরেকজনকে দেখি কখন আপনার বাচ্চার উপর মাল্টিভিটিমিন অ্যাপ্লাই করবেন না।
শেষ কথা
আমাদেরকে মেসেজ পাঠিয়ে থাকেন বাচ্চার জ্বর হয়েছে এই ওষুধটা দেবো কিনা পাশের বাসায় উম্মকে দিচ্ছে বা এই ওষুধটা অমুকে খাচ্ছে আমার বাচ্চাকে দিবে কিনা প্রতিটা মানুষই কিন্তু স্বতন্ত্র প্রতিটা বাচ্চাই স্বতন্ত্র তাই আরেকজনের প্রেসক্রিপশন কখনো আপনার বাচ্চার উপর এপ্লাই করবেন না। সবার কিন্তু জিনগত বিষয়গুলো আলাদা থাকে। তাই একজনের ওষুধ কখনো আরেকজনের হতে পারে না। এটি অবশ্যই ফিজিসিয়ান বা নিউট্রিশানিস্টের পরামর্শ ছাড়া কখনো আপনি এপ্লাই করবেন না। মাল্টি ভিটামিনই অনেক সময় আছে বাচ্চাদের স্যুট করে না।
বাচ্চাদের টয়লেট হতে পারে, বমি হয়ে যেতে পারে, এলার্জি হতে পারে। সেজন্য না বুঝে কখনোই দিতে হয় না। কিছু কিছু সাপ্লিমেন্ট আছে, সেটাও আপনি ফিজিশিয়ানের পরামর্শ ছাড়া না দেওয়াটাই ভালো। তাই মাল্টি ভিটামিন হল একটা বিশেষ কন্ডিশন। যখন প্রয়োজন হবে আপনার ফিজিসিয়ান বা ডাইটেশানে, আপনার সন্তানকে দেবে। নিজে নিজে না দিয়ে আপনি পরামর্শ অনুযায়ী কিন্তু দেবেন তবে প্রথমত খেয়াল করবেন যে খাবার থেকে যদি আপনি multi ভিটামিন পেয়ে যান তাহলে কিন্তু supplement এর কোনো প্রয়োজন নেই।