জীবনে একবারও চোখ ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। কোন কোন সময় বা মৌসুমে একসঙ্গে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন? চিকিৎসকেরা বলছেন গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ সাধারণ সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। রোগটির ছোঁয়াচে ফলে খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের কারণেই আমরা এ রোগের আক্রান্ত হয়ে থাকি।
চোখ ওঠার উপসর্গ সমূহ :
- বেশিরভাগ সময় দুই চোখ লাল হতে দেখা যায়। তবে এক চোখও হতে পারে।
- কনজাংটিভার রক্তনালী গুলো প্রবাহের কারণে চোখ ফুলে বড় হয়ে যায়।
- চোখে ময়লা জমা হয়, ঘুম থেকে উঠলে অনেক সময় চোখের পাতায় লেগে থাকতে দেখা যায়।
- চোখে খসখস ভাব এবং জ্বালাপোড়া করা
- সব কিছু ঘোলা ঘোলা দেখা এবং চোখ দিয়ে পানি পরা ইত্যাদি।
চোখ ওঠা আক্রান্ত ব্যক্তিরা যা করবেন
চোখে ময়লা জমলে হালকা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বা ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে। এবং চোখ চুলকানো থেকে বিরত থাকুন এক চোখের সমস্যা দেখা দিলে অন্য চোখকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যাক্তির রুমাল, কাপড় চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। নোংরা হাতে কখনোই চোখে হাত দেবেন না। কালো চশমা রোদে বা আলোতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়। তাই বাইরে বেরোলেই কালো চশমা পরুন।
চোখ ওঠার চিকিৎসা কি?
ঠান্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টি-সিস্ট্যামিন সেবনে যথেষ্ট। দিনে তিন থেকে চার বার চোখের antibiotic ড্রোরাপ ফেনি কল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চোখে চুলকানি ও বেশি ফুলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চোখ ওঠা সংক্রামক, এজন্য যাদের চোখ ওঠেনি তাদের সচেতন থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যাদের চোখ উঠেছে তাদের শ্বাসপর্শ পরিহার করতে হবে। তাদের ব্যবহার করা রুমাল, কাপড় চোপড়, তোয়ালা ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেপের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। এই জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং নোংরা হাত চোখে লাগানো থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে। ধন্যবাদ