পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরে পরার কারণ ও পতিকার || পটলের ফল বৃদ্ধির উপায়

পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরে পরার কারণ ও পতিকার || পটলের ফল বৃদ্ধির উপায়

পটলের ফল বৃদ্ধির উপায়

সজনপ্রিয় একটি সবজি হলো পটল। পটল সব জেলাতেই কম বেশি চাষ হয়। পটল চাষ করে অল্প সময়ে বেশ লাভজনক হওয়া যায়। তবে পটল চাষে একটি বড় সমস্যা হলো, পটলের জালি ফল বা কচি ফল হলুদ হয়ে ঝরে পড়া। এ সমস্যার কারণে পটল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তাই আজ আমি আলোচনা করব পটলের জালিফল হলুদ হয়ে ঝরে পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। 

পটলের জালি ফল হলুদ হয়ে ঝরে পড়ার কারণ কি?

সত্তাকের আক্রমণে পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরে যায়। খুব বেশি বৃষ্টি ও বর্ষাকালে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। কান্ড ও ফলের সংযোগস্থলে সত্যাকের আক্রমণের কারণে পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরে যায়। এবং সঠিক পরাগায়নের অভাবে পটলের জালি ফল হলুদ হয়ে ঝরে যাই, একটি কৃতিম পরাগায়িত ফসল। কৃতিমভাবে পরাগায়ন না করলে পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরতে পারে।  

মাসি পোকার আক্রমণে পটলের ফল হলুদ হয়ে ঝরে যাই, মাসি পোকা উড়ে এসে পটলের গায়ে ঘোল ফুটিয়ে তার ভেতরে ডিম পেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে ভেতরে পোকার জন্ম হয়ে পটল হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে যায়। এবং সারের অভাবে  পটলের জালি ফল হলুদ হয়ে ঝরতে পারেন। তাহলে আমরা পোর্টালের জালে ফল হলুদ হয়ে ঝরে পড়ার কারণ জানলাম। 

পটলের জালি ফল হলুদ হয়ে ঝরে পরার প্রতিকার বা সমাধান

যেহেতু বর্ষাকালে সত্যাকার আক্রমণ বেশি হয়। তাই কপার হাইড্রক্সাইড জাতীয় শতক কিটনাশক প্রতি সাত দিন পর পর একদিন পটল গাছে স্প্রে করতে হবে। এবং পরাগায়ন সঠিকভাবে করার জন্য প্রতিদিন সকালে কৃত্রিম পরাগান করতে হবে। এতে করে আর পোর্টলের জালে ফল হলুদ হয়ে ঝরবে না। এবং  মাছি পোকা যেন আক্রমণ করতে না পারে। 

সেজন্য ফেরোমন ফাদ ব্যবহার করতে হবে। অথবা প্রফেনো ফস হাইপার্মের থ্রিন। এই জাতীয় কীটনাশক সাত দিন পর পর একবার ব্যবহার করতে হবে। এবং পটলের ফল ঝরে পড়া বন্ধে শোলবর বরণ পনেরো দিন পর পর একবার স্প্রে করতে হবে। এই কাজগুলো করতে পারলে আশা করি পটলের জালি ফল আর হলুদ হয়ে ঝরবে না।


Post a Comment

Previous Post Next Post