এত গরমে শিশুর স্বাস্থ্যের কোন কোন দিক খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আমরা হয়তো বুঝিই না। বাচ্চাদেরও গরমবোধ আমাদের মতই, তাই ওদের যতটা সম্ভব পাতলা সুতির পোশাক পরানো উচিত, গরমে খানিকটা স্বস্তি পাবে। তার সঙ্গে কিছু সময় অন্তর জল খাওয়াতে হবে। শিশুরা জল তৃষ্ণার কথা বলতে পারে না।
শরীরে জলের চাহিদা থাকে বিশেষত গরমে যখন ওদের শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে যায় যদি দেখেন শিশু খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে সারাদিনে একশো মিলিলিটার জলে সামান্য নুন, চিনি গুলে খাওয়ানো যেতে পারে। দিতে পারেন ডাবের জল, স্বাভাবিক খাবার দিন তেল মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে বা গরমে ঘুম ভেঙে গেলে কি করা উচিত
শিশুদের গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলে কি করবেন?
ঘাম বসে ঠান্ডা লাগতে পারে, শিশুদের আরো দ্রুত ঠান্ডা লাগতে পারে। ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মুছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে স্বাভাবিক তাপ মাত্রায় শিশুকে ঘুম পারান।
যে ঘর খুব গরম সেখান থেকে এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে এসি থাকলে পঁচিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে পারেন। একেবারে ছোট শিশু হলে সেক্ষেত্রে সাতাশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে পারেন এসি।
গরমে বাচ্চাদের খেলাধুলা করা কি উচিত?
এই গরমে বাচ্চাদের খেলাধুলা করা কি উচিত? শারীরিক কসরত সবসময়ই ভালো তবে ঠান্ডা রোদে অবশ্যই খেলা উচিত নই। রোদ খানিকটা কমলে খোলা জায়গায় নিয়ে যান প্রতিদিন খানিকক্ষণ খেলা বাচ্চাদের মন ভালো রাখে খেলার সময় অবশ্যই সুতির পোশাক পরান বাড়িতে ফিরেই যাতে ঠান্ডা জল না খায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন এসব। এই সময় বাচ্চাদের কি কি সমস্যা হতে পারে? এসময় বাচ্চাদের অ্যালার্জি পেট পরিষ্কার না হওয়া, ডিহাইড্রেশন, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
বিশুদ্ধ জল পান অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। এলার্জি বা সর্দি জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন. এই সময় শিশুদের তাজা খাবার, মৌসুমী ফল দুধের পরিবর্তে ছানা দিতে পারেন। কারণ গরমের দুধ হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। দই দিয়ে ঘোল করে দিতে পারেন। এতে পেট ঠান্ডা পরবে।
শেষ কথা
এই সময় ভাজাপোড়া জাঙ্ক ফুড ফাস্ট ফুড থেকে বিরত রাখুন বাচ্চাদের চার থেকে আট বছরের বাচ্চাদের দিনে এক দশমিক এক লিটার থেকে এক দশমিক তিন লিটার জল খাওয়া জরুরি। তেরো বছরের বাচ্চাদের দিনে এক দশমিক তিন লিটার থেকে এক দশমিক পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। ভালো খান সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ