জল খাওয়ার সঠিক নিয়ম || না জানলে আপনি নিজেকে ক্ষতি করছেন

জল খাওয়ার সঠিক নিয়ম || না জানলে আপনি নিজেকে ক্ষতি করছেন

আপনি কতটা জল খান তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আপনি কতটা জল অ্যাপস অফ করতে পারেন। জল আমাদের বডিকে ডিটক্স করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আপনি যদি ভুল ভাবে জল পান করেন তাহলে আপনার জয়েন্ট পেশীগুলির ক্ষতি হতে পারে। এবং হজমেরও গন্ডগোল হতে পারে। তাহলে আপনি কিভাবে জল খাবেন আসুন জেনে নিই। 

কিভাবে আপনি জল পান করবেন?

সরাসরি বোতল থেকে নয়, বরং গ্লাসে ঢেলে জল পান করুন। বোতল দিয়ে গলায় সরাসরি জল ঢাললে পরে কোনরকম লালারস ছাড়াই জল ডিরেক্টলি আমাদের পেটে চলে যাই। জলে লালারস মেশানোর জন্য চুমুক দিয়ে জল পান করার অভ্যাস করুন।  এবং খুব গরম বা ঠান্ডা জল পান করবেন না। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জল পান করুন। বেশি ঠাণ্ডা বা গরম জল হজমে অনেক বেশি সময় নেই।

এতে বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। এজন্য ঘরের তাপমাত্রায় নরমাল জল পান করুন। হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় নয় বরং বসে বসে জল খান। কারণ আমরা যখন বসে থাকি তখন আমাদের পেশি এবং স্নায়ু অনেক বেশি রিলাক্সড হয়। কোনো খাদ্য বা তরল খুব সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। কিডনি ও বসা অবস্থায় ফিল্টার প্রক্রিয়াটি আরো ভালোভাবে সম্পাদন করে। একবারে বেশি জল পান না করে অল্প অল্প করে বারবার জল খান।

একবারে বেশি জল খেলে হজমে সমস্যা করতে পারে। আমাদের শরীরও বেশি জল অ্যাপজ করতে পারে না। এই জন্য অল্প অল্প করে বারবার জল খান এবং  সবচেয়ে খারাপ জল না খাওয়া, সারাদিনে আপনি কতটা পরিমাণে জল খাচ্ছেন সেটা পরিমাপ করুন। প্রায়ই সময় যে ব্যস্ত জীবনে আমরা জল খেতে ভুলে যায়। প্রতি কুড়ি কেজি ওজনে এক লিটার জল খেতে হয়।

প্রতিদিন কত পরিমাণ পানি খেতে হবে?

আপনার যদি ৬০ কেজি ওজন হয় তাহলে আপনাকে ৩ লিটার জল খেতে হবে সারাদিনে। কিন্তু কিছু কিছু সময় আছে যখন আমাদের একদম জল খাওয়া উচিত নয়। যেমন খেতে খেতে জল খাওয়া একদমই উচিত না। আমরা যখন খাবার খাই তখন সেই খাবারকে হজম করার জন্য আয়ুর্বেদের মতে আমাদের পেটে জ্বর অগ্নি জলে। কিন্তু সেই সময় যদি আমরা জল পান করি তখন সে আগুন নিভে যায়। আর হজমে গন্ডগোল হয়। এজন্য খাবার সময় বা খাবার পরে জল পান করবেন না। বরং খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে নয়তো পনেরো মিনিট পরে জল পান করুন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post