শিশুর রক্তশূন্যতার কারণ ও প্রতিকার || স্বাস্থ্য সচেতনতা

শিশুর রক্তশূন্যতার কারণ ও প্রতিকার || স্বাস্থ্য সচেতনতা

অপুষ্টিজনিত কারণে অসংখ্য শিশু অ্যানিমিয়া বা রক্তশুন্যতায় ভোগেন। যাকে রক্ত স্বল্পতাও বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ছয় মাস থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুর রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি এগারো গ্রাম বা DC লিটারের নিচে এবং ছয় বছর থেকে চোদ্দো বছর বয়সীদের রক্তে বারো গ্রাম বা ডেসিলেটরের নিচে থাকে। তাহলে সেই শিশুটি anima এ ভুগছেন বলে ধরে নেওয়া হয়।

শিশুর রক্ত স্বল্পতার জন্য প্রধানত iron ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি টুয়েলভ, প্রোটিন ও ভিটামিন ই ঘাপটির কারণটাই মুখ্য শিশুর রক্তশুন্যতা হলে ক্ষুধামন্দা, ফ্যাকাসে ভাব, মেজাজ খিটখিটে প্রভূতি প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়। পরে বুক ধড়ফড় করে, শ্বাসকষ্ট হয়, সামান্যতেই ক্লান্ত হয়ে পরে। শিশুদের রক্ত শূন্যতা হলে পড়ালেখা ও খেলাধুলায় মন বসে না। 

প্রথম ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশু মায়ের দুধ পান করে বলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর মাকেই প্রতিদিন খেতে হবে আয়রন ভিটামিন বি টুয়েলভ। এবং প্রোটিন সম্ম খাবার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে শিশুকেও আয়রন ও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ suspension খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল বিশেষ করে কলা, আনারস, পেঁপে, গাজর, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানো উচিত। মনে রাখতে হবে অপুষ্টিজনিত কারণেই শিশুর রক্ত শুন্যতা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে সহজেই শিশু রক্তশুন্যতা কাটিয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে আর একটা বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তা হলো শিশুর কিমিরি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা। এবং কিমি থাকলে প্রয়োজনে কিমিরি ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।


Post a Comment

Previous Post Next Post