বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা না জানলে আপনি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন

বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকে আমরা আলোচনা করব বাদামের উপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে।  পুষ্টি গুনে দেখতে গেলে বাদামের কোনো বিকল্প নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন রয়েছে। যা স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। নিয়মিত বাদাম খেলে বিভিন্ন রোগ যে নির্মূল করে তা কারোর অজানা নয়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে বাদাম খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অউপকারিতাও রয়েছে অনেক। আজ আলোচনা করবো বাদামের উপকারিতা এবং অপকারিতাগুলো নিয়ে।

বাদাম খেলে কি হয়?

বাদাম শক্তির ভালো উৎস। বাদাম খাওয়ার ফলে এনার্জি দেয় শরীরে নিয়মিত এই বাদাম খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় বাদামে এক প্রকার তেল থাকে। ভিটামিন B সমৃদ্ধ, এর জন্য এটি একটি শক্তিশালী খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, যার মেমোরি শক্তি বৃদ্ধি করে। বাদামে পটাশিয়ামের পরিমাণ উচ্চ মাত্রায় থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সোডিয়ামের মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে দেহে রক্ত বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তচাপ বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে নিয়মিত বাদান খাওয়া উপকারী। নিয়মিত আদাম খাওয়ার দ্বারা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। উচ্চ প্রোটিন সামগ্রী হওয়ার কারণে দ্রুত হজমের শক্তি বাড়ায়। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে ভুগছেন এমন মানুষজনকে নিয়মিত বাদাম খেতে হবে। বাদামে এক প্রকার অ্যাসিড পাওয়া যায়।

হার্টের জন্য বাদাম কি উপকারিতা?

বাদাম হার্টের পক্ষে খুবই ভালো, এ ছাড়াও দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম, তামা এবং লোহার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা রক্ত সঞ্চালন স্বাবাভিক রাখে। এবং হৃদরোগের সহায়তা করে, আপনি যদি দিনে একবার অন্তত বাদাম খান তাহলে আপনাকে ক্যালোরির জন্য অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। বাদাম খাদ্য মেজাজ হিসেবে পরিচিত, আর তাই মনের বিষন্নতা দূর করে দিয়ে মনকে refresh করে তোলে।

বাদামের অপকারিতা কি কি?

এখন চলুন জেনে নিই বাদামের অপকারিতা সম্পর্কে বাদামে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। আর তাই মাত্রা অতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনি কিন্তু মোটা হয়ে যেতে পারেন। বাদাম ওজন কমায়, পাশাপাশি বেশি খেলে ওজন বাড়াতেও পারে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম যোগ করলে চার ভাগের এক ভাগ রাখুন। বাদামে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে। তবুও বাদাম খাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতিতে না ব্যবহার করলে কিছু site effect দেখা যায়। তার মধ্যে একটি হলো এলার্জি সমস্যা।

কারণ বাদামে এলার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে. তাই বাদাম খাওয়ার আগে সচেতন হন। স্টিল ম্যাগনেসিয়াম ঔষধের কাজকর্মে বাধা প্রদান করে। যার ফলে রোগ নির্মূল হতে দেরি হয়। আশা করি বাদামের উপকারিতা এবং অপকারিতাগুলো জেনে গেলেন। এবার সঠিক পরিমাণে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ধন্যবাদ


Post a Comment

Previous Post Next Post