এন্টিবায়োটিক কি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে? জেনে নিন এর মূল কারণ

 

কি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে?

কি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে? 

মানবদেহে অগণিত ব্যাকটেরিয়ার বসবাস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে অন্ত্রের। তবে প্রতিনিয়ত এন্টিবায়োটিকস গ্রহনের ফলে স্থায়ীভাবে অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়। এই ধারণা আসলে কতটা বিজ্ঞান সম্মত।

অন্তরে যত বৈচিত্রধর্মী ব্যাকটেরিয়া থাকবে সেটি দেহের জন্য তত উপকারী। কিন্তু প্রতিবার antibiotic গ্রহণের ফলে অন্তরে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বৈচিত্র্য নষ্টের আশঙ্কা থাকে। কেননা antibiotic রোগ বালাই সৃষ্টিকারী bacteria ই শুধু ধ্বংস করে না। পাশাপাশি অন্দরে থাকা অন্য ভালো ব্যাকটেরিয়ার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।

অন্ত দেহের সার্বিক কার্যকরী সম্পাদনের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. যেমন দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে হজমে সাহায্য করা অঙ্গটির প্রধান কাজ বহু বিশেষজ্ঞের মতে অন্ত্রের জন্য এন্টিবায়োটিক হুমকির শুরু। মূলত ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করেন।

অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় কত ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে? 

তবে এক্ষেত্রে এটি রোগ নির্মূলের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের সাথে সাথে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে ফেলে তাই বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার ৬৫ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সে ক্ষেত্রে মূলত দুটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রথমত এটি ধীরে ধীরে অন্ত্রের ক্ষতি সাধন করছে। দ্বিতীয়ত এটি ব্যবহারের ফলে দেহ অ্যান্টিবায়োটিক এর বিপরীতে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখনো অন্তরের মাইক্রোবায়োমে antibiotic ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত পরিণতি কেমন তা জানতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেষ কথা

মাইক্রোবায়োমের বৈচিত্র্য নষ্টের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার ঝুঁকির বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। একদিকে ক্ষতিকারক আর অন্যদিকে জীবন রক্ষাকারী ভূমিকা থাকায় বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের মধ্যে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। যদিও এন্টিবায়োটিক এর নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে নির্দিষ্ট কোন সমাধান নেই। তবে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে ক্ষতিকর প্রভাব অনেকাংশে কমানো যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ধন্যবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post