পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ ও সমাধান
আজকে আমি যে ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি, সেটা হল পেটে পর্যাপ্ত গ্যাস বা গ্যাসের সমস্যা। ফাঁপা বা প্রচুর বুক বা পেট ব্যথা হয়ে থাকে গ্যাসের সমস্যার কারণে, অনেকেই ভালোভাবে খেতে পারেন না। খাবার এনজয় করতে পারেন না। যেকোনো সাধারণ খাবার থেকে তাদের গ্যাসের সমস্যাটা অত্যন্ত বেড়ে যায়। এবং অনেকেই এই সমস্যার জন্য প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ আপনারা সেবন করে থাকেন।
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয়?
আমার পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ডক্টর দেখানো ছাড়া আপনারা গ্যাস্টিকের ওষুধ সেবন করবেন না,এটা থেকে পরবর্তীতে বড়ো রকমের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে, যেমন গ্যাসট্রো ইন্টারস্টেনার জনিত প্রবলেম, বা কিডনি রোগের প্রবণতাটাও চলে আসে। খাবার থেকে অনেকটাই গ্যাসের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়।
কি কারনে আমাদের পেটে গ্যাস হয়?
আমাদের গ্যাস তৈরি করে সেই খাবারগুলোও কিছুটা অ্যাভয়েড করতে পারেন। যেমন আমাদের দুধ এবং দুধের যে প্রোডাক্ট গুলো হয়ে থাকে সেটা থেকে অত্যন্ত গ্যাস তৈরি হতে পারে, সেক্ষেত্রে দুধ এবং দুধ জাতীয় প্রোডাক্টগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে. তাছাড়া কিছু সবজি আছে। ক্রসিফেরিয়াস জাতীয় সবজি আমরা বলে থাকি। সেই সবজিগুলো থেকেও আমাদের গ্যাসের উৎপত্তি হতে পারে।
যেমন হল ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, মুলা, মুলা শাক এই টাইপের খাবারগুলো থেকে আমাদের গ্যাসের প্রবলেমটা অত্যন্ত বেড়ে যায়। যাদের গ্যাসের প্রবলেম বেশি থাকে তারা এই সমস্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। ব্লুটিন জাতীয় খাবার বা ময়দার তৈরির খাবার থেকেও অনেক সময় গ্যাসের প্রবলেমটা বেড়ে যায়। যেমন নান রুটি, বন রুটি, পাউরুটি, বেকারের তৈরি প্রোডাক্ট। এইসব খাবার থেকে আমাদের গ্যাসের সমস্যা বাড়ে, সো এই খাবারগুলো আপনারা খাবারের থেকে লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কি খাবার খেলে গ্যাস হয় না?
আমাদের দেশীয় যে খাবারগুলো হয়ে থাকে বিশেষ করে ভাত চিড়া, মুড়ি। এই টাইপের খাবারগুলো আমাদের সহজে গ্যাস হয় না. আপনাদের খাদ্য তালিকায় এই ধরনের খাবারগুলো রাখতে পারেন। গ্যাসের প্রব্লেমের জন্য অত্যন্ত জরুরি থাকে পানি। পর্যাপ্ত না খেলে আমাদের গ্যাসের সমস্যাটা বাড়ে। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা পর্যাপ্ত পানি খাবেন, ন্যূনতম আট থেকে দশ গ্লাস। হাঁটাহাঁটি এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি. হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে থাকে।
প্রতিদিন আমাদের খাবারের পর্যাপ্ত যদি আমরা আঁশ জাতীয় খাবার রাখি সেই ক্ষেত্রে আমাদের গ্যাস অনেকটা কম থাকে, আশের মধ্যে আপনি পর্যাপ্ত শাক সবজি অ্যাড করতে পারেন অথবা এসবগুলোর ভুসি তকমা দানা, এগুলো খাবার মেনুতে রাখতে পারেন। ভুসির ক্ষেত্রে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখবেন। এটা ইনস্ট্যান্ট খেতে হয় এটা ভিজিয়ে রাখা যাবে না। পানির সাথে তুলনামূলক যদি স্যুপগুলোর পরিমাণ বেশি থাকে মানে এক গ্লাস পানিতে যদি আপনি দুই তিন চামচ এইসব গুলায় ভুসি দিয়ে খান।
সেই ক্ষেত্রে উল্টা কষার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং পেট পাঁপার পরিমানও বাড়তে পারে। এসব গুলির মাত্রা অবশ্যই নির্ধারণ করে নেবেন, এছাড়া খাবারের মধ্যে থেকে যে খাবারগুলো আপনারা প্রত্যেকদিন গ্যাস তৈরি করে সেই খাবারগুলো একটু বাছাই করার চেষ্টা করবেন। অনেকের ক্ষেত্রে ডালে গ্যাস করে। অনেকের ক্ষেত্রে ডাবের পানি গ্যাস করে।
অনেকের ক্ষেত্রে করে না, সেক্ষেত্রে যাদের ক্ষেত্রে করবে তাদের ক্ষেত্রে আপনারা সেই খাবারগুলো বাদ দিয়ে থাকবেন। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার ঝালযুক্ত খাবার অথবা বাইরের খাবার যেগুলো ভাজাপোড়া বেশি হয়ে থাকে সেই খাবারগুলো থেকে অবশ্যই গ্যাস করে থাকে।
অতিরিক্ত বাদ ধজম হওয়ার কারণ?
গ্যাসের প্রব্লেম অতিরিক্ত বেশি বা বদহজমের সমস্যা থাকে তারা এই খাবারগুলো অবশ্যই বাদ দিবেন।আদা আমাদের ক্ষেত্রে অনেক সুখকর এই সময়ের জন্য আদা পানি বা আদা কুচি করে খাওয়া বা আদা আপনার আ চা করে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এক গ্লাস পানিতে যদি এক ইঞ্চ পরিমাণ আদা কুচি কুচি করে কেটে গরম পানিতে আপনি কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে সেই পানিটা সারাদিন পান করেন অথবা সারাদিনে দুইবার পান করেন তাহলে অনেকটা গ্যাসের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।
শেষ কথা
যদি খুব বেশি গ্যাসের সমস্যা থাকে তখন আপনারা একটা দুইটা ওষুধ ডক্টরের পরামর্শে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারবেন। গ্যাস সংক্রান্ত অন্য কোন সমস্যা যদি আপনাদের থেকে থাকে অথবা গ্যাসের নিয়ে কোন কথা আপনারা আমার কাছে জিজ্ঞেস করতে চান, অবশ্যই আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে করতে পারেন।